পোস্টগুলি

ধর্মের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ধর্ম প্রসঙ্গে

যারা আমাকে চেনে, তারা হয়তো আমাকে সর্বধর্মের প্রতি সহনশীল বলেই জানে। আগে উগ্রবামপন্থী রাজনীতি করলেও বাকি বামপন্থীদের মত (হিঁদু) ধর্মের প্রতি চরম বিদ্বেষ কোনোকালেই ছিল না। আমি নিজে সমাজে এখনও নিজেকে হিঁদু বলেই পরিচয় দিই, এবং কতকটা গর্বের সাথে যে দিই না, তা বললে মিথ্যাই বলা হয়। ইদানিং কিঞ্চিৎ ইতিহাস (বা বলা ভালো, যে ৩ ধারার ইতিহাস বর্তমান ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত, সেই ৩ ধারার ইতিহাস) চর্চার পরে বরং, ইব্রাহীমিয় ধর্মগুলির প্রতিই কিঞ্চিৎ রক্ষণশীল হয়ে উঠেছি।  তা বেশ কিছুদিন আগে, নাসার উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তোলা ব্রহ্মাণ্ডের কিছু ছবি বার হয়, যেগুলো কিছু কোটি বছর অন্তত পুরনো। তাতে সামাজিক মাধ্যমে হুলুস্থুল কাণ্ড, যে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব নাকি প্রমাণ হয়ে গেছে। সেখানে এত সব জ্ঞানী গুণী যুক্তিশালী বামপন্থী (মানে সিপিএম) লোকজন, যে নিজেরই মস্তিষ্কগঠন নিয়ে প্রশ্ন জাগে। মানে হঠাৎ ব্রহ্মাণ্ডের ছবির সাথে ঈশ্বরের কী সম্পর্ক, তাইই বুঝলাম না, তায় আবার ঈশ্বরের প্রমাণ!  ত যাই হোক, ক’দিন আগে মুঘল ইতিহাস আর দারউইনের তত্ত্ব এক শ্রেণীর পাঠ্যক্রম হতে বাদ পড়ায় আবারও এক জিনিস হয় - সরকার চ...

শিল্পী, শিল্পায়ন, প্রেম এবং ঈশ্বর প্রসঙ্গে

“কীভাবে একজন কবি শুনতে পান তার নিজের কবিতাকে? কোন ছন্দ থাকে  তার মাথার ভীতরে, কী ভেবে তিনি লাইন সাজান, যতিচিহ্ন রাখেন, অথবা বর্জন করেন?” লাইনগুলি থেকে থেকেই মনে পরে, আর ভাবিয়ে তোলে, কবি কি সত্যিই কবিতা তৈরি করেন, নাকি কবিতা তাঁর কাছে ধরা দেয় মাত্র? কবি ছাড়া কি কবিতার কোন অস্তিত্ব নেই? বার্থের মতে শিল্পায়নের পরে শিল্পীর মৃত্যু ঘটে - শিল্পের তখন এক স্বাধীন অস্তিত্ব কায়েম হয়; শিল্পীর অভিপ্রায় আর সেই শিল্পের মধ্যে খাটে না। সৃষ্টির আদিতে প্রজাপতি তপস্যাক্রমে নিজ দেহ হতে এক কায়া বাহির করেন। নিজসৃষ্টির সুঠাম রূপৌজ্জ্বলতার বশে তাঁকে ভোগ করবার বাসনা করেন স্বয়ং ব্রহ্মা। পুত্ররা পিতালালসার ছিঃ ছিঃ করলেও সরস্বতীর স্বরূপে তিনি মোহাবিষ্ট। সৃষ্টিশীল সমস্তই জগতে বর্তমান। তবে কি শিল্পীকে সৃষ্টিকর্তার উপাধি দেওয়া ঠিক? একজন শিল্পী তাঁর শিল্পসত্ত্বা প্রয়োগ করে সমস্ত থেকে বাছাই করেন মাত্র। শিল্পীর মাধুর্য তাঁর রূপ-প্রদানের ক্ষমতায়। এই সত্ত্বা বা শিল্পতত্ত্ব লাভ করবার জন্য বাকদেবীর আশীর্বাদ কাম্য। এই সাধনাদ্বারাই প্রজাপতি ব্রহ্মা সৃষ্টিতত্ত্ব লাভ করে সৃষ্টিকর্মে রত হয়েছেন। বীণাপাণি ব্যতীত এই কর্মে সফল হ...
পুজো নিয়ে ফাঁপা উত্তেজনা কোনো কালেই ছিল না বললে ভুল হয়তো হবে না। সন ২০১৬ উত্তর পুজো সংক্রান্ত সবরকম উত্তেজনা গলে গেছে। গত ২০২১ সনে সুযোগ পেয়েছিলাম পুজোতে কলকাতায় না থাকবার। তবে, অন্য এক পরীক্ষার কারণে থাকতে হয়েছিল শেষে। ফলত উত্তেজনা না থাকলেও কখনও পুজোতে ঘরছাড়া থাকিনি। এবং কলকাতায় থেকেছি বলেই পুজো কখনও খালি কাটেনি। ২৪ বৎসরে এই প্রথমবার পুজোতে ঘরছাড়া। কলকাতা ফেরার বাসনাও জাগত না যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় জায়গায় ছাতিমের গন্ধ ম' ম' করত। ছাতিমফুলের এত গাছ আমি কলকাতায় কোথাও দেখিনি। এই শহরে আছি ৩ মাস বরাবর। দিল্লীর একটা অন্য ধরণের গতি আছে। বাতাস এখানে বড় বেশি মলিন। এই উচ্চগতির সাথে মানিয়ে ওঠা কঠিন। তবুও কখনও ঘরের জন্য মন কেমন করেনি। আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে দেবীপক্ষে পদর্পণ করেছে আমার শহর। সেজে উঠেছে ব্যানার, হোর্ডিং, আর নিওন আলোতে। এই প্রথম শহরের জন্য মন কেমন করছে। এখানে গঙ্গা নেই। ব্রহ্মপুত্র নেই। যমুনার সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব কি?   
আমার হৃদয়ের সর্বাধিক বেদনাপ্রবণ কোশগুলো জুড়ে যাঁহার অস্তিত্ব ব্রহ্মপুত্রসম সুখের মাঝে কখনও দুঃখভোগের বাসনা জাগ্রত হইলেই আমি তাঁহার সমীপে উপনীত হইয়া অতঃপর যদি তিনি তাঁহার সুষম সুগঠিত অধমাঙ্গে আমাকে গ্রহণ অনুসারে বেটাল পদতলের মলিনতা লেহন করিবার পরমসৌভাগ্যে নিয়োগোত্তর মহামূল্য মুত্রবর্ষায় সিক্ত করেন বিরহপূর্বের দুঃকাহিনী স্মরণ হেতু দুঃখবিলাস অতিবাহনকালে তাঁহার যোনিতটের কেশসমূহ কর্ষণ করিয়া পরমপুরুষের জন্য তাঁহাকে প্রস্তুত করিয়া পুনরায় সেই আদিম বেদনাসুলভপ্রেমানুভবের স্বাদ গ্রহণ করিতে অগ্রসর হই॥    
আজ বহু বছর পরে আমি বাইরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরচি কালীঘাট বাস স্টপের কাছে যখন রাস্তা পেড়াবো দেখি সামনে সবজেটে রঙের একটা ফুলহাতাজামা গাঢ় নীল একটা ফর্মাল প্যান্টের নীচে গুঁজে খোপা বেঁধে কালো বুটজুতো পরে একজন আসচে আর হঠাৎ দেখেই আমি কিরম যেন আত্মহারা হয়ে প্রায় তার গা ঘেষে রাস্তা পেড়িয়ে ওপারে যেতেই কী মনে হল তার পিছু ধরলাম এপারে আমি আর সে ওপারে অত্যন্ত জোড়ে হাঁটচিল বলে আমিও পায়ে গতি এনে হাজরার দিকে দ্রুত বেগে এগোতে এগোতে ক্রমে কোচিঙে যাওয়ার রাস্তাটার কাছে এসে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারলাম যখন সেও আমায় লক্ষ্য করলে দ্বিতীয়বার কারণ এর আগে আমার অজ্ঞানে একবার দু'জনার চক্ষুভেদাভেদ হয়েচিল আর এই এখন আবার হল ঠিকই কিন্তু হাজরায় বাসযাত্রীদের ভিড় ঠেলতে ঠেলতে যে সে কোথায় মিলিয়ে গেল তা আমি ঠাহর করতে না পেরে বাড়ি এসে মুর্গির দোপিয়াজ়া আর কোর্মা দিয়ে রুটি সাঁটালাম। 
Dread! The dread is here to stay. “The greatest mercy of all, is perhaps the inability of the human mind, to correlate all its contents." We are just minute particles in the gamut of existence. A candle cannot light the whole of the world. If it remains lit, doesn't matter to the Earth. We are but only candles in the vast stretch of the mighty universe, like tears in rain. Love! “Oh, what love has done to" us. Tiny fragments of hope, assures us just for a moment that our existence is necessary, show us that we have a purpose. But do we really? What is purpose if it is only for a moment or two?  Existence! We are doomed. The space and time are vast and supposedly ever-existent. We, our doings cannot cause even an atom of ripple in the magnanimous stretch of space and time. We are trapped inside our own body, limited by our own existence. We are mere passerbys. 

Shadows of Past

ছবি
 

Lavanya

       - You have to take a side, man, and speak for your side.     - That's what I've been saying, they're all the same - old nasty buggers, sitting on a mountain of money, running after more! Politics is a nasty business.     - True. All of who you talk about, are the same indeed, but there are still people, unknown, or rather, made to be known as terrorists, who work for the welfare of the commonfolk, unlike the ones, who are but slaves to Capitalism and Revisionism.     - I don't understand. Who do you support?     - Well, that's the tricky part. I bid them and took a turn towards my house. *She wears black leather mary-janes. They are a bit worn off. Her dirty socks have sagged down to her ankles.* Bloody liberals! I just can't take them anymore.  *Her slender knees are almost tr...