আজ বহু বছর পরে আমি বাইরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরচি কালীঘাট বাস স্টপের কাছে যখন রাস্তা পেড়াবো দেখি সামনে সবজেটে রঙের একটা ফুলহাতাজামা গাঢ় নীল একটা ফর্মাল প্যান্টের নীচে গুঁজে খোপা বেঁধে কালো বুটজুতো পরে একজন আসচে আর হঠাৎ দেখেই আমি কিরম যেন আত্মহারা হয়ে প্রায় তার গা ঘেষে রাস্তা পেড়িয়ে ওপারে যেতেই কী মনে হল তার পিছু ধরলাম এপারে আমি আর সে ওপারে অত্যন্ত জোড়ে হাঁটচিল বলে আমিও পায়ে গতি এনে হাজরার দিকে দ্রুত বেগে এগোতে এগোতে ক্রমে কোচিঙে যাওয়ার রাস্তাটার কাছে এসে তাকে ছাপিয়ে যেতে পারলাম যখন সেও আমায় লক্ষ্য করলে দ্বিতীয়বার কারণ এর আগে আমার অজ্ঞানে একবার দু'জনার চক্ষুভেদাভেদ হয়েচিল আর এই এখন আবার হল ঠিকই কিন্তু হাজরায় বাসযাত্রীদের ভিড় ঠেলতে ঠেলতে যে সে কোথায় মিলিয়ে গেল তা আমি ঠাহর করতে না পেরে বাড়ি এসে মুর্গির দোপিয়াজ়া আর কোর্মা দিয়ে রুটি সাঁটালাম।
ধর্মের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ধর্ম প্রসঙ্গে
যারা আমাকে চেনে, তারা হয়তো আমাকে সর্বধর্মের প্রতি সহনশীল বলেই জানে। আগে উগ্রবামপন্থী রাজনীতি করলেও বাকি বামপন্থীদের মত (হিঁদু) ধর্মের প্রতি চরম বিদ্বেষ কোনোকালেই ছিল না। আমি নিজে সমাজে এখনও নিজেকে হিঁদু বলেই পরিচয় দিই, এবং কতকটা গর্বের সাথে যে দিই না, তা বললে মিথ্যাই বলা হয়। ইদানিং কিঞ্চিৎ ইতিহাস (বা বলা ভালো, যে ৩ ধারার ইতিহাস বর্তমান ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত, সেই ৩ ধারার ইতিহাস) চর্চার পরে বরং, ইব্রাহীমিয় ধর্মগুলির প্রতিই কিঞ্চিৎ রক্ষণশীল হয়ে উঠেছি। তা বেশ কিছুদিন আগে, নাসার উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তোলা ব্রহ্মাণ্ডের কিছু ছবি বার হয়, যেগুলো কিছু কোটি বছর অন্তত পুরনো। তাতে সামাজিক মাধ্যমে হুলুস্থুল কাণ্ড, যে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব নাকি প্রমাণ হয়ে গেছে। সেখানে এত সব জ্ঞানী গুণী যুক্তিশালী বামপন্থী (মানে সিপিএম) লোকজন, যে নিজেরই মস্তিষ্কগঠন নিয়ে প্রশ্ন জাগে। মানে হঠাৎ ব্রহ্মাণ্ডের ছবির সাথে ঈশ্বরের কী সম্পর্ক, তাইই বুঝলাম না, তায় আবার ঈশ্বরের প্রমাণ! ত যাই হোক, ক’দিন আগে মুঘল ইতিহাস আর দারউইনের তত্ত্ব এক শ্রেণীর পাঠ্যক্রম হতে বাদ পড়ায় আবারও এক জিনিস হয় - সরকার চ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন