পুজো নিয়ে ফাঁপা উত্তেজনা কোনো কালেই ছিল না বললে ভুল হয়তো হবে না। সন ২০১৬ উত্তর পুজো সংক্রান্ত সবরকম উত্তেজনা গলে গেছে। গত ২০২১ সনে সুযোগ পেয়েছিলাম পুজোতে কলকাতায় না থাকবার। তবে, অন্য এক পরীক্ষার কারণে থাকতে হয়েছিল শেষে। ফলত উত্তেজনা না থাকলেও কখনও পুজোতে ঘরছাড়া থাকিনি। এবং কলকাতায় থেকেছি বলেই পুজো কখনও খালি কাটেনি। ২৪ বৎসরে এই প্রথমবার পুজোতে ঘরছাড়া। কলকাতা ফেরার বাসনাও জাগত না যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় জায়গায় ছাতিমের গন্ধ ম' ম' করত। ছাতিমফুলের এত গাছ আমি কলকাতায় কোথাও দেখিনি। এই শহরে আছি ৩ মাস বরাবর। দিল্লীর একটা অন্য ধরণের গতি আছে। বাতাস এখানে বড় বেশি মলিন। এই উচ্চগতির সাথে মানিয়ে ওঠা কঠিন। তবুও কখনও ঘরের জন্য মন কেমন করেনি। আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে দেবীপক্ষে পদর্পণ করেছে আমার শহর। সেজে উঠেছে ব্যানার, হোর্ডিং, আর নিওন আলোতে। এই প্রথম শহরের জন্য মন কেমন করছে। এখানে গঙ্গা নেই। ব্রহ্মপুত্র নেই। যমুনার সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব কি?
ধর্মের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ধর্ম প্রসঙ্গে
যারা আমাকে চেনে, তারা হয়তো আমাকে সর্বধর্মের প্রতি সহনশীল বলেই জানে। আগতে উগ্রবামপন্থী রাজনীতি করলেও বাকি বামপন্থীদের মত (হিঁদু) ধর্মের প্রতি চরম বিদ্বেষ কোনোকালেই ছিল না। ইদানিং কিঞ্চিৎ ইতিহাস (বা বলা ভালো, যে ৩ ধারার ইতিহাস বর্তমান ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত, সেই ৩ ধারার ইতিহাস), এবং কিঞ্চিৎ থিওলজী চর্চার পরে বরং, ইব্রাহীমিয় ধর্মগুলির প্রতিই হালকা রক্ষণশীল হয়েছি। তা সে যাই হোক, এখানে মূলত বিজ্ঞানের ধর্মের সুত্রপাত করাই উদ্দেশ্য। বেশ কিছুদিন আগে, নাসার উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তোলা ব্রহ্মাণ্ডের কিছু ছবি বার হয়, যেগুলো কিছু কোটি বছর অন্তত পুরনো। তাতে সামাজিক মাধ্যমে হুলুস্থুল কাণ্ড - যে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব নাকি প্রমাণ হয়ে গেছে। সেখানে এত সব জ্ঞানী-গুণী যুক্তিশালী বামপন্থী (মানে সিপিএম) লোকজন, যে নিজেরই মস্তিষ্কগঠন নিয়ে প্রশ্ন জাগে। মানে হঠাৎ ব্রহ্মাণ্ডের ছবির সাথে ঈশ্বরের কী সম্পর্ক, তাইই বুঝলাম না, তায় আবার ঈশ্বরের প্রমাণ! ত যাই হোক, ক’দিন আগে মুঘল ইতিহাস আর দারউইনের তত্ত্ব এক শ্রেণীর পাঠ্যক্রম হতে বাদ পড়ায় আবারও এক জিনিস হয় - সরকার চায় না যে পড়ুয়ারা দারউইনের তত্ত্ব...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন