নৈরাশ্য
পঞ্চমী এক চরিত্রার হঠাৎ আগমনের সহিত , চারিপাশ গঞ্জিকার মধুরস্নিগ্ধ গন্ধে কিঞ্চিৎ নেশাতুর হইয়া উ ঠিয়া ছে। ফলস্বরূপ , মঞ্চসজ্জায় ঈষৎ পরিবর্তনের প্রয়োজন। কিছু বৎসর কেশসুলভ ছুটি কাটানোর পরে পরিচালকমশাই যখন এক আকাশ কলুষ লইয়া বাড়ি ফিরিলেন , দ্বিতীয়া চরিত্রা তখনও ক্রুদ্ধ , আবার কিছুটা খুশীও ; কতকটা বিভ্রান্ত। প্রথম চরিত্র ইতিমধ্যে অনাবশ্যক অথবা অত্যাবশ্যক কোনো কারণে মঞ্চত্যাগ করিলেন। কিছুদিন পরে পরিচালকমশা ই য়ের আত্মকৃত কলুষের পর্বত হয়তো বা খানিক কাটানো সম্ভব হইল কিন্তু ঠিক তখনই দ্বিতীয়া চরিত্রার সুসার্থকপ্রেমে তৃতীয়া ব্যাক্তির প্রত্যাবর্তন লইয়া তিনি তার প্রাচীনরূপ ধারণ করিয়া বিচলিত করিয়া তুলিলেন খাস পরিচালকমশাইকেই। ওদিকে তৃতীয় চরিত্র তার ব্যর্থপ্রেমের দৈনন্দিন আত্মবৈদ্বেষিক নৈরাশ্যের চিরাচরিত দুঃখবাদ হইতে বার হইয়া আরও হতাশাপীড়িত কোনও শূন্যগর্ভে প্রবেশ করিয়াছেন। চতুর্থী চরিত্রাও এ হেন কালে ব্যর্থপ্রেমের চরম ঘা খাইয়া সমস্ত আশা বিসর্জন দিয়া হঠাতই পরাজয়ের নৈরাশ্যবাদ আপন করিয়া লইয়াছেন। এমতাবস্থায় - পরিচালকঃ সত্য সেলুকাস , মাত্রাপরিবর্তনের পালা যে এইরূ...